মুমিনের বৈশিষ্ট্য - মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য
সূচিপত্রঃ মুমিনের বৈশিষ্ট্য - মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য
মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য| মুমিনের বৈশিষ্ট্য pdf
আজকে আমরা মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য বা মুমিনের বৈশিষ্ট্য pdf ফাইল সম্পর্কে আলোচনা করব। মহান আল্লাহ তা'আলা সূরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, মুমিনদের কাছ থেকে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। আল্লাহর পথে তারা যুদ্ধ করে, অতঃপর তারা মরে ও মারে। ইঞ্জিল, তাওরাত এবং কুরআনে তাদের হক আদায় সম্পর্কে ওয়াদা রয়েছে। আর নিজের প্রতিজ্ঞা পালন করার জন্য আল্লাহর চাইতে আর কে আছে। তাই তোমরা যে সওদা করেছ সেই সওদার জন্য তোমরা আনন্দিত হও।
আরো পড়ুনঃ মানুষের চোখ কত মেগাপিক্সেল - মানুষের চোখ কত ডিগ্রি কোণে দেখে
আর সেটাই হচ্ছে মহা সাফল্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন তিনি জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন। এরপর তিনি মুমিনদের প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছিলেন। সেটা হচ্ছে আল্লাহর পথে তারা যুদ্ধ করে, এরপর তারা মারে এবং মরে। এর বিনিময়ে তো তাদেরকে মহান আল্লাহ তা আলা জান্নাত দান করবেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের আরও নয়টা বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। পূর্ণ মুমিন হবার জন্য যেগুলো অত্যন্ত জরুরি। চলুন আমরা মুমিনের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে আসি-
- আল্লাহর পথে তারা যুদ্ধ করে এবং তারা মারে ও মরে।
- তওবাকারী।
- ইবাদতকারী।
- আল্লাহর প্রশংসাকারী।
- সিয়াম পালনকারী।
- রুকুকারী।
- সিজদা কারী।
- সৎকাজের আদেশদাতা।
- অসৎ কাজের নিষেধ কারী।
- আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হেফাজতকারী।
কোরআনের আলোকে মুমিনের জীবন| কুরআনের আলোকে মুমিনের জীবন pdf
বড় আফসোস করে একজন কুরআন গবেষক বলেছিলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মীয় গ্রন্থ বিকৃতি হয়ে যাচ্ছে, একমাত্র কোরআনই অবিকৃতি অবস্থায় আলোর মশাল নিয়ে হাতে নিয়ে দুনিয়ার বুকে হেদায়েতের নূর মিলাচ্ছে। এ বিবেচনায় মুসলমানদের মত সৌভাগ্যবান জাতি আর একটাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কথা ছিল মুসলমান কুরআনের আলোয় পথ চলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী কুরআনের ছায়ায় শান্তির স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। আফসোস হচ্ছে সে সকল মুসলমান আজ কোরআন পড়া থেকে বিরত থাকছে।
সূরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, মাসালুহুম কামাশা লিল্লাজিসতাওকাদা নারা, ফালাম্মা আদাআত মা হাউলাহু জাহাবাল্লাহু বিনুরিহিম ওয়াতারাকাহুম ফি জুলুমাতিল্লা ইউবসিরুন।
অর্থঃ ওদের উপমা এমন ব্যাক্তি হচ্ছে, যে আগুন জ্বালালো। আগুনে চারপাশ আলোকিত হবার পরেই যে আলো আল্লাহ সরিয়ে নিলেন। ঘোর অন্ধকারে সাথে সাথে ওরা ডুবে গেল। অন্ধকার ছাড়া তাদের আর কিছুই দেখার রইলোনা। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১৭)
সে অন্ধকার হচ্ছে নিফাকের অন্ধকার, কুফরের অন্ধকার, বদ আমল করার অন্ধকার, অন্যের হক মেরে খাবার অন্ধকার। সেজন্যই নূর বা আলোর ক্ষেত্রে আল্লাহতালা একবচন ব্যবহার করে থাকলেও অন্ধকারের ক্ষেত্রে ঠিকই ব্যবহার করেছেন জুলুমাত বা বহুবচন। অর্থাৎ এক আল্লাহর এক আলো যখন বান্দা বাদ দিয়ে দেন তখন হাজার অন্ধকারে সে যেন হন্য হয়ে ঘুরতে থাকে। সকল মুমিন ব্যক্তিকে কুরআনের আলোয় জীবন পার করার তৌফিক দিন।
আরো পড়ুনঃ উমরাহ হজ্জ প্যাকেজ ২০২২
কুরআনের আলোকে মুমিনের জীবন সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে আপনারা মতিউর রহমান নিজামীর কুরআনের আলোকে মুমিনের জীবন pdf বইটি করতে পারেন বা চাইলে ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন। কুরআনের আলোকে মুমিনের জীবন pdf ফাইলটি হচ্ছে
আপনারা চাইলে এখান থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন কিংবা এখান থেকে পড়তে পারেন।
আদর্শ মুমিনের ৬টি গুণ
আমরা এখন একজন আদর্শ মুমিনের ৬টি গুণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেখা যাক আদর্শ মুমিনের গুণাবলী গুলো-
- আল্লাহ তায়ালার পথে যুদ্ধ করে এবং তারা মারে ও মরেঃ আদর্শ মুমিনের এক নাম্বার গুণাবলী হচ্ছে তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে এবং তারা মারে ও মরে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিতঃ রাসূল সাঃ বলেন যে ব্যক্তি জিহাদ না করেই মারা গেলেন, যুদ্ধের বাসনা তার মনে জাগলো না। নিফাকের একটা অংশের উপর তার মৃত্যু হল।
- তওবাকারীঃ মুমিনের দুই নাম্বার গুণাবলী হচ্ছে তওবাকারী। আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয় যে, রাসূল সাঃ বলেন, প্রতিটা আদম সন্তানই পাপী। আর উত্তম পাপী হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি গুনাহ করে তওবা করে। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
- ইবাদতকারীঃ মহান আল্লাহ পাক বলেছেন, আমি জীন এবং মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। ইবাদত হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের যাবতীয় বিষয়কে মেনে চলা। অর্থাৎ তাওহীদের সকল বিষয়কে অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং সেটা কাজে বাস্তবায়ন করার নামই হচ্ছে ইবাদত।
- আল্লাহর প্রশংসাকারীঃ আল্লাহতালা হচ্ছে সকল প্রশংসার একমাত্র অধিকারী। কেননা আমাদেরকে তিনি সৃষ্টি করেছেন, হেদায়েত দান করেছেন, রিজিক দিয়েছেন এবং তারই দেয়া যান এবং মালের বিনিময়ে আমাদেরকে জান্নাত দান করিবেন। তাই সব সময় সকল মুমিনগণ কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলারই প্রশংসা করে।
- সিয়াম পালনকারীঃ সিয়াম হচ্ছে এমন একটা এবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে সবচাইতে বেশি সন্তুষ্ট করা যায়। সিয়ামের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাকে যতটা সন্তুষ্ট করা যায় অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যমে তা সম্ভব হয় না। সেজন্য সকল মুসলিমগণ বেশি বেশি করে সিয়াম পালন করেন।
- রুকুকারিঃ সালাতের মাধ্যমে মুমিনগণ রুকু করে থাকে। অর্থাৎ মাথা ঝুকিয়ে আল্লাহর সামনে নত স্বীকার করেন।
মুমিন কত প্রকার
এখন আমরা মুমিন কত প্রকার তা নিয়ে আলোচনা করব। মূলত মুমিনের কোন প্রকারভেদ নাই। মুমিন হচ্ছে ইসলাম ধর্মকে নিজ ধর্ম বলে স্বীকার ও বিশ্বাস করার পাশাপাশি নিজের বাহিরে ও ভিতরে ধারণ করে এবং এর সাথে সাথে নির্দেশনা বলি কঠোরভাবে মেনে চলে এরকম ব্যক্তি। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, সকল মুমিন মুসলিম, কিন্তু সকল মুসলিম মুমিন নন। মুমিন হচ্ছে একটা আরবি শব্দ, যা মূলত ঈমান আরবি শব্দ থেকে এসেছেন।
এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসী এবং এর মাধ্যমে একজন কঠোরভাবে অনুগত মুসলিমকে বুঝানো হয়। যে ইসলামকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিজের অভ্যন্তরের এবং বাহিরের সমস্ত কর্মকাণ্ডে ধারণ করে থাকে এবং মহান আল্লাহ পাকের সকল ইচ্ছার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করে থাকে। উল্লেখ্য, মু'মিনা শব্দটি নারী মুমিনদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শেষ কথাঃ মুমিনের বৈশিষ্ট্য - মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য
মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য কোরআনের আলোকে মুমিনের জীবন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা মুমিনের ১০ টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url