OrdinaryITPostAd

যমজ সন্তান কেন হয় - যমজ সন্তান কিভাবে হয়

যমজ সন্তান কেন হয়? এই বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকের থাকে। সাধারণত জমজ সন্তান আমরা অনেকেই পছন্দ করি তাই যমজ সন্তান কেন হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই। যমজ সন্তান পেতে হলে যমজ সন্তান কেন হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট যমজ সন্তান কেন হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ যমজ সন্তান কেন হয় - যমজ সন্তান কিভাবে হয়

যমজ সন্তান কেন হয়?

আমরা অনেকেই যমজ সন্তান পছন্দ করে থাকি। যমজ সন্তান কেন হয়? এই নিয়ে মানুষের অনেক কৌতূহল রয়েছে। যমজ সন্তান জন্মের পিছনে কোন ধরনের রহস্য নেই। স্বাভাবিক সন্তান হওয়ার মতো ডিম্বানু এবং শুক্রাণুর একই বিষয় রয়েছে এখানে এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদেরকে সন্তান হয়ে থাকে। যমজ সন্তান কেন হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ মেষ রাশির নারীর বৈশিষ্ট্য - মেষ রাশির বৈশিষ্ট্য

আমরা জানি সন্তান সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়ায় মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুইটি ডিম্বাশয় এর যে কোন একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুইটি ডিম্বাশয় থাকে একটি করে ডিম বানু একই সময়ে নির্গত হয়। ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুইটি ডিম্বাণু থাকে। সাধারণত এই সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে।

এই ডিম্বাণুগুলো প্রথমে দুইটি পৃথক কোষের বিভক্ত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কোষ থেকে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। এখানে যেহেতু পূর্বে আরেকটি কোর্স ছিল তাই এদের সব জিন একই হয়ে থাকে। এ কারণে এরা দেখতে একই রকম হয়ে থাকে এবং একই লিঙ্গের হয়। সাধারণত উক্ত কারণগুলোর জন্যই জমজ সন্তান হয়ে থাকে।

যমজ সন্তান কিভাবে হয় - কিভাবে সন্তান জন্ম হয়

আমাদের সকলের বড় একটি কৌতুহল যে যমজ সন্তান কিভাবে হয়? এবং কিভাবে সন্তান জন্ম হয় এই বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক সাহায্য করবে। দুই ধরনের জমজ সন্তান হয়। সাধারণত মহিলাদের শরীরের ডিম্বাণুর সঙ্গে শুক্রাণুর মিলনে একটি ভ্রুণ গঠিত হয়। তবে এই ফার্টিলাইজেশনের ক্ষেত্রে অনেক সময় একটি নয় দুইটি ভ্রুণ গঠিত হয়।

আমাদের যাদের কৌতুহল রয়েছে কিভাবে সন্তান জন্ম হয়? জানার তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু একই ডিম্বাণু থেকে দুইটি ভ্রুণ হয় তাই তাদের গর্ভপাত ও একই। এ পর্যায়ে দুইটি ছেলে বা মেয়ের জন্ম হয়। সাধারণত তাদের চেহারা ও স্বাভাবিক মিল থাকে এক্ষেত্রে। ডিএনএ তে খুব মিল থাকে তবে তাদের আঙ্গুলের ছাপ আলাদা হয়ে থাকে। এ ধরনের শিশুদের মনোজাইগোটিক জমজ বলা হয়।

একসাথে জন্ম নেওয়া দুইটি বাচ্চাকে জমজ সন্তান বলা হয়। আমরা ইতিমধ্যেই এক ধরনের যমজ সন্তান কিভাবে হয়? এই বিষয়টি জেনেছি। কোনটা হল পুরুষের শরীরে কোটি কোটি শুক্রাণু তৈরি হলেও মায়ের শরীরে প্রতি মাসে সাধারণত একটি মাত্র ডিম্বাণু থাকে। এখন যদি সাধারণ নিয়মে ব্যতিক্রম ঘটে দুইটি ডিম্বাশয় থেকে দুটি ডিম্বা চলে আসে।

যেহেতু পুরুষের শরীরে শুক্রাণুর অভাব থাকে না তাই দুইটি মানুষ নিষিদ্ধ হয় এই পদ্ধতিতে দুইটি সন্তান এর জন্ম হয়। সন্তান জন্ম হওয়ার এ পদ্ধতিতে বলা হয় ডাইজোইগোটিক। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

কি খেলে যমজ সন্তান হয়

আশা করি আপনারা যমজ সন্তান কেন হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে কি খেলে যমজ সন্তান হয়? সমাজে এরকম বিশ্বাস রয়েছে যে কোন নারী যদি জোড়া কলা খায় তাহলে তার যমজ সন্তান হবে। সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এ সকল লোকবিশ্বাস। তাই আমরা এখন কি খেলে যমজ সন্তান হয়? বিজ্ঞানসম্মতভাবে জানব।

আরো পড়ুনঃ মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার ফজিলত

জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে জমজ সন্তান হওয়ার কোন ধরনের সম্পর্ক নাই। এটা শুধুমাত্র একটি কুসংস্কার। যমজ সন্তান সাধারণত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এবং শরীরের কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। জমজ সন্তান কিভাবে হয় আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। তাই কোন কিছু খাওয়ার মাধ্যমে জনসংহার হওয়ার কোন যোগসূত্র নেই।

জমজ সন্তান হওয়ার লক্ষণ - গর্ভে যমজ সন্তান বুঝার উপায়

অনেক সময় আমাদের গর্ভে যেমন সন্তান থাকে কিন্তু গর্ভে যমজ সন্তান বুঝার উপায় গুলো না জেনে থাকার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারি না। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে জমজ সন্তান হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে জমজ সন্তান হওয়ার লক্ষণ এবং গর্ভে যমজ সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বমি হওয়ার প্রবণতা - গর্ভে বাচ্চা থাকলে হরমোন এর ক্ষরণ হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের বমি বমি ভাব হয়। গর্ভে বাচ্চা আসার চার সপ্তাহ পর থেকেই এ লক্ষ্য দেখা দেয়। অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই এমন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

ক্লান্ত ভাব হওয়া - গর্ভে বাচ্চা আসার অন্যতম একটি লক্ষণ হলো ক্লান্ত হওয়া। পেটে বাচ্চা আসার প্রথম মাসেই এ ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পায়খানা হওয়ার জন্য রাতে ঘুম কম হয়। যার ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পাইনা। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের বুঝতে হবে জমজ বাচ্চা রয়েছে।

দ্বিতীয় হৃদস্পন্দন - ৮-১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। যদি চিকিৎসক মনে করে দ্বিতীয় কোন হৃদস্পন্দন শোনা যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে।

ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া - গর্ভে বাচ্চা আসার পরে প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন কোন ওজন বাড়ে না। কিন্তু গর্ভে যদি জমজ বাচ্চা থাকে তাহলে ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। এই লক্ষণটি প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে যে গর্ভে জমজ বাচ্চা রয়েছে।

জমজ বাচ্চা কত সপ্তাহে ডেলিভারি হয়

অনেকের ইচ্ছা থাকে জমজ বাচ্চা জন্ম দেওয়ার। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক ইচ্ছা তাই ইচ্ছা থাকা শর্তেও এটা সম্ভব নয়। আমরা ইতিমধ্যেই যমজ সন্তান কেন হয়? এ বিষয়টি জেনেছি। জমজ বাচ্চা কত সপ্তাহে ডেলিভারি হয়? এই বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ। জমজ বাচ্চা কত সপ্তাহে ডেলিভারি হয়? তার নিচে উল্লেখ করা হলো।

আপনি গর্ভে যমজ সন্তানের সাথে ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে ওঠা মানে আপনার গর্ভদশার প্রান্তিক রেখাটিও আপনার খুব কাছাকাছিই এসে পড়ে। এই অত্যাশ্চার্যজনক যাত্রা পথটি অবশেষে তার সমাপ্তির পথে এসে উপনীত হয় আর খুব শীঘ্রই আপনি মাতৃত্বের যাত্রাপথে প্রবেশ করবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী যমজ কিম্বা ততোধিক সন্তান সহ অসংখ্য গর্ভবতী মহিলাকেই এই সপ্তাহে সফলতার সাথে প্রসব করতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুনঃ পিরিয়ড দেরিতে হলে করনীয় - হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয়

অভ্যন্তরে তাদের বৃদ্ধি এখনও অব্যহত থাকে তবে তারা এখন যেকোনও দিনই বেরিয়ে আসতে পারে। ৩৫ তম সপ্তাহে শিশুদের বৃদ্ধি  এটি হতে পারে আপনার গর্ভদশার ৩৫ তম সপ্তাহ এবং এই সময় আপনার শিশুদের জন্মনালীর দিকে তাদের চলাচলগুলি শুরু করার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠার প্রত্যাশা আপনি করতে পারেন। এখন আপনি তাদের আগমনের আশা করতে পারেন কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা পুরোপুরি এর জন্য প্রস্তুত আপনার বাচ্চারা এখনও বেড়ে চলে যদিও তা খুব বেশি নয় কিন্তু তাদের প্রস্তুত হতে দিন।

তথ্যঃ banglaparenting.firstcry

আমাদের শেষ কথাঃ যমজ সন্তান কেন হয় - যমজ সন্তান কিভাবে হয়

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে যমজ সন্তান কিভাবে হয়? যমজ সন্তান কেন হয়? জমজ বাচ্চা কত সপ্তাহে ডেলিভারি হয়? গর্ভে যমজ সন্তান বুঝার উপায়, জমজ সন্তান হওয়ার লক্ষণ, কিভাবে সন্তান জন্ম হয়? কি খেলে যমজ সন্তান হয়? বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনার কৌতূহলের বিষয়গুলো জেনে নিন। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪