OrdinaryITPostAd

মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

মহাস্থানগর সম্পর্কে ১০ টি বাক্যঃমহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বিস্তারিত তুলে ধরা হল।  মনোযোগের সহিত পড়লে মহাস্থানগড় সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।কেননা নিম্ন বর্ণিত মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য মহাস্থানগড়ের যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।


               মহাস্থানগড়  

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্তিক নিদের্শন।বিখ্যাত এই নগরী ইতিহাস পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে।সময়ের পরিক্রমা এর বর্তমান নাম হয়েছে মহাস্থানগড়।দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন প্রত্নস্থল বলে সারা পৃথিবী্র পর্যটক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মহাস্থানগড় আগ্রহের ও আকর্ষনীয় স্থান।বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আবিস্কৃত প্রাচীনতম শহুরে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির মধ্যে মহাস্থানগড় একটি ।

মহাস্থানগড়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বৌদ্ধ শিক্ষার জন্য প্রসিদ্ধ হওয়ায় চীন ও তিব্বত থেকে ভিক্ষরা তখন মহাস্থানগড়ে আসতেন লেখাপড়া করতে।এরপর তারা বেরিয়ে পড়তেন দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।সেখানে গিয়ে তারা বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষার বিস্তার ঘটাতেন।সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্ণণসেন (১০৮২-১১২৫) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরিক্ষত ছিল।মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে।এসময় ভারতের দাক্ষিণাতে শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে আসেন।তিনি  রাজা পরশুরাম।এই রাজা পরশুরাম রাম নামে ও পরিচিত ছিলেন

দর্শনীয় স্থানঃমাজার শরীফ,জাদুঘর,খোদার পাথর ভিটা,মানকালীর ঢিবি,বৈরাগীর ভিটা,স্কন্ধের ধাপ,মঙ্গলকোট,গোকুল মেধ,ট্যাংরা বৌদ্ধ স্তুপ,বিহার ধাপ,ভাসু বিহার,ভিমের জঙ্গল,কালীদাস সাগর শীলাদেবীর ঘাট,বেহুলার বাসর ঘর,গোবিন্দ ভিটা,পরশুরামের প্রাসা 

 মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

  •  মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
  • ইতিহাসে এটি পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
  • এক সময় মহাস্থানগড়  বাংলার রাজধানী ছিল।
  • ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
  • মহাস্থানগড়ে জাদুঘর রয়েছে যে মৌর্য,গুপ্ত ও পাল রাজবংশের প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষিত আছে।
  • করতোয়া নদীর তীরে শীলাদেবীর ঘাট রয়েছে।
  • মহাস্থানগড় বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
  • মহাস্থানগড়ে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আসেন ফকির বেশি দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রঃ)
  • ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিলটন প্রথম মহাস্থানগড়ের অবস্থান চিহ্নিত করেন।
  • ১৯৮৫ সালে মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়।

 উপসংহার

মহাস্থানগড় বাংলসদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।পূর্বে এর নাম ছিল পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর।এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ও ছিল.২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষনা হয়।এখানে গুপ্ত,পাল মৌর্য, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।এর অবস্থান বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ উপজেলা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪